জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা সমাবেশ উপলক্ষে চারটি ট্রেন ভাড়া দেওয়ায় সমালোচনার মুখে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে— এতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি। বরং এটি একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত, যার মাধ্যমে রেলওয়ে ৩২ লাখ টাকা আয় করেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ থেকে চারটি ট্রেন ভাড়া দেওয়া হয়, যাতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি না হয়।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, জামায়াত শুধু আসনের ভাড়াই নয়, বরং অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ও ইঞ্জিন ব্যবহারের ফিও পরিশোধ করেছে, যা মোট নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে প্রায় ৩০% বেশি।

রেলওয়ে আরও জানায়, অতীতে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বড় কর্মসূচির জন্য বিশেষ ট্রেন ভাড়া নিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ রাজশাহী ও যশোরে সমাবেশের জন্য আটটি ট্রেন ভাড়া নেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশেষ ট্রেন চালু না করলে নিয়মিত ট্রেনে অতিরিক্ত, টিকিটবিহীন যাত্রী চাপে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তাই ট্রেন ভাড়া দেওয়া হলে রেলও আয়ের সুযোগ পায় এবং সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ কমে।

রেল মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানায়, এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক, বাণিজ্যিক উদ্যোগ; এতে কোনো দলীয় পক্ষপাত নেই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version