যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন যে তুরস্কে অনুষ্ঠিতব্য ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে না, যতক্ষণ না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি বৈঠক করেন। ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর রুবিও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পুতিনের সরাসরি আলোচনা ছাড়া এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়।”
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য সফররত ট্রাম্পও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পুতিন ও আমি একসাথে না বসলে কিছুই হবে না। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে, আমাদের এই সংকট সমাধান করতে হবে।” যদিও ট্রাম্প তুরস্কের আলোচনায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তবে শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রস্তাবিত “নিম্নস্তরের” প্রতিনিধিদলকে সমালোচনা করেছেন। তবে তিনি ইস্তাম্বুলে আলোচনার জন্য একটি ইউক্রেনীয় দল পাঠাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। রুশ দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি দাবি করেছেন যে তাদের দলে সব ধরনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা রয়েছে।
২০২২ সালের পর এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সরাসরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে আলোচনার সঠিক সময় নির্ধারণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে যে তারা ২০২২ সালের ব্যর্থ আলোচনা থেকেই পুনরায় আলোচনা শুরু করতে চায়।
জেলেনস্কি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও ট্রাম্পের প্রতি রাশিয়ার “অসম্মানজনক” আচরণের অভিযোগ করেছেন। তিনি পুতিনকে সরাসরি বৈঠকের চ্যালেঞ্জ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আলোচনার সম্ভাব্য এজেন্ডায় ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান, সামরিক সংকোচন ও ন্যাটোতে যোগদান না করার শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ইউক্রেন ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প-পুতিনের সরাসরি বৈঠক ছাড়া এই যুদ্ধবিরতি আলোচনা সত্যিকারের সমাধানে পৌঁছাতে পারবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন দেখছে, এই জটিল পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক সমাধান আসলেই সম্ভব কিনা।