জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। পাশাপাশি, তার দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ডা. জোবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, মাকসুদ উল্লাহ এবং জাকির হোসেন।
এর একদিন আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে), হাইকোর্ট আপিল দাখিলের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মাফ করে দেন। এর ফলে জামিন আবেদনের পথ উন্মুক্ত হয় এবং মামলার শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা দায়ের করে তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, তারা বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন করেছেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে, ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় দেন। এতে তারেক রহমানকে নয় বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা জরিমানা এবং ডা. জোবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২৪ সালের অক্টোবরে সরকারের পক্ষ থেকে একটি গেজেটের মাধ্যমে জানানো হয়, ডা. জোবাইদা রহমানের দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে যাতে তিনি আপিল করতে পারেন।
সবশেষে, ২০২৫ সালের ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। জামিন পাওয়ার পর এই মামলাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা আবারও তীব্র হয়েছে।