দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ক্ষমতাচ্যুত সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ তদন্ত শুরু করেছে। রোববার (১৮ মে) দুদক একটি বিশেষ অনুসন্ধান টিম গঠন করে এ তদন্তের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে।
দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত এই টিম শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও আয়কর নথি পরীক্ষা করবে। দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করে বলেন, “অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পূর্বাচল প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থপাচার এবং সরকারি প্রকল্পের তহবিল লুটপাটের একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। গত ১০ মার্চ পূর্বাচল প্লট বরাদ্দ কেলেঙ্কারির অভিযোগে দুদক দেওয়া চার্জশিটের ভিত্তিতে আদালত শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এছাড়া বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। তবে এ সংক্রান্ত তদন্তের অগ্রগতি এখনও স্পষ্ট নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই তদন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।