মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। দেশটি আগামী ৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ২ লাখ করে মোট ১২ লাখ শ্রমিক নেবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বিনা খরচে নিয়োগ পাবেন।
গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার পুত্রজয়ায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল ও মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেও অংশ নেন। এতে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে নীতিগত সমঝোতা হয়েছে, তবে মালয়েশিয়া কিছু শর্তারোপ করেছে। পাশাপাশি নেপাল, মালদ্বীপসহ আরও পাঁচটি দেশ থেকেও শ্রমিক নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন ও সুবিধা নিশ্চিত করা এবং একটি স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই করে এই সমঝোতা চূড়ান্ত হবে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সারওয়ার আলম বলেন, *”আমাদের আলোচনা খুবই ইতিবাচক হয়েছে। ২১ মে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”* এছাড়া মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়মিতকরণের বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জন্য বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে বিনা খরচে ২০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রবাসী শ্রমিকদের আর্থিক সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আগামী সপ্তাহের বৈঠকে চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত হওয়ার পরই স্পষ্ট হবে কীভাবে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে।