যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছানোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদিতে সাধারণত বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান প্রাদেশিক গভর্নর বা নিম্ন সারির কর্মকর্তারা। তবে ট্রাম্পের বেলায় এ নিয়ম ভাঙা হয়েছে, এবং প্রিন্স সালমান নিজে বিমানবন্দরে এসে তাকে স্বাগত জানান।
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিমান যখন সৌদির আকাশসীমায় প্রবেশ করে, তখন দেশটির বিমানবাহিনীর এফ-১৫ যুদ্ধবিমান তার বিমানকে এস্কোর্ট করে রিয়াদ বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে আসে। বিমান থেকে নামার পর ট্রাম্পকে বিমানবন্দরের গ্র্যান্ড হলে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে প্রিন্স সালমান তাকে আরবের ঐতিহ্যগত কফি পরিবেশন করেন।
এটি সৌদি প্রিন্স সালমানের ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার একটি ইঙ্গিত। তিনি এই সম্মানের মাধ্যমে তার ভালো সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এর আগে ২০১১ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন বাদশাহ সালমান। তবে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি ও ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর সৌদি-আমেরিকা সম্পর্ক কিছুটা উত্তপ্ত হয়েছিল।
আরও উল্লেখযোগ্য, ২০২২ সালে যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদিতে গিয়েছিলেন, তখন তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন সৌদির প্রাদেশিক গভর্নর। বাইডেনের সফরের সময় তিনি প্রিন্স সালমানের সঙ্গে মুষ্টি মিলিয়ে ছবি তোলেন, যা পরে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কারণ, বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রিন্স সালমানকে ‘বিচ্যুত ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, বিশেষ করে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর।